তৃণমূল ছেড়ে সদ‍্য বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিধানসভা ভোটে প্রার্থী ? পোষ্টার ঘিরে কৌতুহল

27th January 2021 8:50 am বাঁকুড়া
তৃণমূল ছেড়ে সদ‍্য বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিধানসভা ভোটে প্রার্থী ?  পোষ্টার ঘিরে কৌতুহল


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ন্ত মিত্রকে 'ভোট দেওয়ার' আবেদন জানিয়ে পোষ্টার পড়লো বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। মঙ্গলবার পাঁচমুড়া, তালডাংরা, সিমলাপাল, শিবডাঙ্গা মোড়, হাড়মাসড়া, বিবড়দায় লাগানো এই পোষ্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।  এদিন সকাল থেকে ঐ এলাকা গুলিতে পদ্মফুল প্রতীক চিহ্ন সহ জয়ন্ত মিত্র, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের ছবি সম্বলিত 'দাদার অনুগামী'দের সৌজন্যে ঐ পোষ্টারে ' তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে জননেতা ও বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত মিত্র'কে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।  প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে থাকাকালীন জয়ন্ত মিত্র সম্প্রতি মেদিনীপুর কলেজ মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর বিজেপির তরফে রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণার আগেই তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ন্ত মিত্রের হয়ে পোষ্টার পড়ায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।  এবিষয়ে তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি মনসারাম লায়েক বলেন, ঐ বিষয়টি বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিষয়। একই সঙ্গে তৃণমূল ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী, জয়ন্ত মিত্রদের 'লোভী' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আর ঠিক ঐ জিনিসটাই ওদের ক্ষেত্রে ঘটবে বলে তিনি দাবি করেন।  এবিষয়ে বিজেপির তালডাংরা মণ্ডল-১ সভাপতি মধুময় পরামানিকের দাবি, তৃণমূলের লোকেরাই জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াতে এই পোষ্টার লাগিয়েছে।  বলেন, দলের তরফে কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। একই সঙ্গে সর্বভারতীয় তাদের এই দলে কোন দাদা বা দিদির অনুগামী নেই। তারা নরেন্দ্র মোদি ও শীর্ষ নেতৃত্বের কথা শুনেই চলেন বলে তিনি দাবী করেন। জয়ন্ত মিত্রের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।


 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।